লালমনিরহাটে স্বেচ্ছায় বাংলাদেশ ছাত্রলীগের ২ নেতা পদত্যাগ করেছেন। শিক্ষার্থীদের উপর বাংলাদেশ ছাত্রলীগের হামলার ঘটনায় তীব্র নিন্দা জানিয়ে তারা পদত্যাগ করেন।
সোমবার (১৫ জুলাই) রাতে স্ব স্ব ফেইসবুক এ পোস্ট দিয়ে পদত্যাগ করেন তারা। এ ২ নেতা হলেন- বাংলাদেশ ছাত্রলীগ লালমনিরহাট সদর উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুজ্জামান আরিফ ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগ লালমনিরহাট সরকারি কলেজ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আজমাউল খন্দকার।
তারা জানান, সহিংসতা ও রক্তক্ষয়ের রাজনীতি বিরোধী তারা।
এর আগে পদত্যাগ করা বাংলাদেশ ছাত্রলীগ লালমনিরহাট সদর উপজেলা শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আরিফুজ্জামান আরিফ ফেইসবুকে লিখেন, “আমি আরিফুজ্জামান আরিফ সাংগঠনিক সম্পাদক বাংলাদেশ ছাত্রলীগ লালমনিরহাট সদর উপজেলা। এই পদে দীর্ঘ ছয় বছর ধরে দায়িত্ব পালন করে আসছি। আমি স্বইচ্ছায় সজ্ঞানে এই পদ থেকে অব্যাহতি নিলাম। আমি বা আমার পরিবার কেউ মুক্তিযোদ্ধা না, আমরা রাজাকার।”
বাংলাদেশ ছাত্রলীগ লালমনিরহাট সরকারি কলেজ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক আজমাউল খন্দকার তার ফেইসবুক পোস্টে লিখেন, “আমি সর্বদাই শিক্ষা ভিত্তিক রাজনীতি চর্চা করেছি। শিক্ষা ও জ্ঞান লাভ ছিলো আমার পরম ব্রত। তবে আজকের আক্রমণাত্মক ছাত্র রাজনীতি আমায় ব্যথিত করেছে ও আমার সংবেদনশীল অনুভূতিতে আঘাত হেনেছে। সহিংসতা ও রক্তক্ষয়ের রাজনীতি আমার ব্যক্তিগত নৈতিকতা বিরোধী। তাই আমি সজ্ঞানে আমার মস্তিষ্কের দুইশো বিলিয়ন নিউরন ব্যবহার করে বিবেকের দাড়িপাল্লায় দাঁড়িয়ে আজ থেকে ছাত্র রাজনীতি থেকে সরে গেলাম এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগ লালমনিরহাট সরকারি কলেজ শাখার সাংগঠনিক সম্পাদক পদ থেকে পদত্যাগ করলাম।”
এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেছেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ লালমনিরহাট জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক আরিফ ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, “ফেইসবুকে পদত্যাগকারী ওই দুই নেতা ছাত্রলীগের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ণ করার চেষ্টা করছেন। তারা ছাত্রলীগ নেতা হয়ে ভিন্ন মতাদর্শ লালন করেন। তারা ছাত্রলীগ থেকে স্বেচ্ছায় বেড়িয়ে গেছে এতে আমরা খুশি। এরা ছাত্রলীগে কীভাবে ঢুকেছে এটি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।”